প্রকাশিত: Mon, May 6, 2024 11:58 AM
আপডেট: Mon, May 20, 2024 11:25 AM

[১]জার্মানিসহ আরও দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ, বিপাকে বাইডেন

রাশিদুল ইসলাম: [২] ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী বিক্ষোভ নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও মেক্সিকোতে। ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধের দাবিতে গত ১৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিবিসি

[৩] চলমান এ বিক্ষোভ একপর্যায়ে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ভারত ও লেবাননে ছড়িয়ে পড়ে। এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের নাম। 

[৪] শুক্রবার জার্মানির বার্লিনের হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। অন্য জায়গায় ক্যাম্প করতে বিক্ষোভকারীরা অস্বীকৃতি জানান। এরপরই পুলিশ বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে জোর করে সরিয়ে দেয়।

[৫] বার্লিনের মেয়র কাই ওয়েগনার এই বিক্ষোভের সমালোচনা করেছেন। তিনি এক্সে বলেছেন, বার্লিন শহর যুক্তরাষ্ট্র বা ফ্রান্সের মতো ঘটনা দেখতে চায় না।

[৬] আয়ারল্যান্ডের ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিনের শিক্ষার্থীরা কর্মসূচিতে ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।

[৭] মেক্সিকোর বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় ইউএনএএমের বেশ কিছু শিক্ষার্থী গত বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানীতে একটি ক্যাম্প স্থাপন করেন। মেক্সিকোর এই বিক্ষোভকারীরা চান, দেশটির সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করুক।

[৮] সুইজারল্যান্ডের লুসান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনের প্রবেশদ্বার দখল করে আছেন প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী। বিক্ষোভকারী এই শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলকে একাডেমিক বয়কট এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছেন।

[৯] এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানস্থলে মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনপন্থীরা। তবে এই বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ। অন্যদিকে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের মুখোমুখি হয়েছে।

[১০] যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিদেশে এমন পরিস্থিতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে নতুন এক অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকটে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ফেলেছে। বাম ও ডান দুই মেরু থেকেই চাপে পড়েছেন বাইডেন।

[১১] বামপন্থীরা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চান, শান্তি চান। আবার মার্কিনিরা মনে করছেন, ক্যাম্পাসগুলোয় নজিরবিহীন এমন বিক্ষোভ শিক্ষার পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করছে। শান্তিশৃঙ্খলা নষ্টের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

[১২] ফিলিস্তিনের দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহতে উদ্বাস্তুদের তাঁবুর সামনে টানানো একটি ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘কলাম্বিয়ার শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ’।

[১৩] ইসরায়েলের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন থেকে সরে আসার জন্য কয়েক মাস ধরে বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন বাম ঘরানার ডেমোক্রেটরা। কিন্তু রাজনৈতিক ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বাইডেন এমন নীতিতে অটল। মার্কিন তরুণ ও কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের অনেকের মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে সমালোচনামূলক মনোভাব তৈরি হচ্ছে। সম্পাদনা: এম খান